amazon-prime-20230308224641

দেশে যাত্রা শুরু করছে ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ’

দেশে শিগগির যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যামাজন প্রাইম’। জানা গেছে, ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ’ নামে তারা কাজ শুরু করবে। এ দেশের দর্শকের জন্য প্ল্যাটফর্মটি এরই মধ্যে বেশকিছু ওয়েব ফিল্ম ও সিরিজ নির্মাণ করেছে।

‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ’র হেড অব কনটেন্ট অ্যান্ড কর্পোরেট বিজনেস সোনিয়া হুরিয়া গুপ্তা বুধবার (৮ মার্চ) এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

সোনিয়া হুরিয়া গুপ্তা যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশেষে বাংলাদেশে আমাদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। এ যাত্রা শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

শুরুতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি পাঁচটি ওয়েব কনটেন্ট দর্শকদের উপহার দেবে। এর পোস্টারও প্রকাশ করেছে অ্যামাজন প্রাইম।

 

পাঁচটি কন্টেন্ট হচ্ছে-

কিশলয়: মাহিরিয়ান চৌধুরী পরিচালিত এই রোমান্টিক থ্রিলারধর্মী ওয়েব ফিল্মটির গল্প গড়ে উঠেছে একজন কিশোরীর বিখ্যাত মডেলে পরিণত হওয়া এবং পরবর্তীতে তার করুণ পরিণতি নিয়ে। জান্নাতুল এলহাম মায়া এর গল্প এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন।

বাংলার বন্ধু: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে ঘটে যাওয়া সব রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘বাংলার বন্ধু’। ভারতের পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় রাইনো আরিয়ান খানের গল্প ও চিত্রনাট্যে এটি নির্মাণ করেছেন।

 

 

হাত ধুবি কিনা বল: আল নাহিয়ান মাশরাফির গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত ‘হাত ধুবি কিনা বল’ ওয়েব ফিল্মটির কাহিনি করোনাকালে একজন সমাজ সেবকের হাত ধোয়ার ব্যবসা নিয়ে গড়ে উঠেছে।

চকলেটেই বাড়ে ভালোবাসা: বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও আয়োজন রয়েছে অ্যামাজন প্রাইম বাংলাদেশের তালিকায়। ১২ জন শিশুর চকলেট খাওয়া আর তাদের মধ্যে ভালোবাসার গল্প নিয়ে ভারতের শর্মিষ্টা মুখার্জি নির্মাণ করেছেন শিশুতোষ ওয়েব ফিল্ম ‘চকলেটেই বাড়ে ভালবাসা’। এটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রিয়াজ আফ্রিদি।

 

কফিতা: একটি কফির ক্যাফেতে ২৪ ঘণ্টায় ঘটে যাওয়া সমাজের ৬ পেশার মানুষের জীবনের গল্প দেখা যাবে ‘কফিতা’ ওয়েব ফিল্মটিতে। এটি পরিচালনা করেছেন জান্নাতুল এলহাম মায়া। এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাইনো আরিয়ান খান।

এ মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ওটিটি প্লাটফর্মটি- অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও বাংলাদেশ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

whatsapp-1

হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের সময় নতুন যে সুবিধা মিলবে

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। মেটা মালিকানাধীন এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে প্রায়ই নতুন ফিচার নিয়ে আসে।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন ফিচার হিসেবে পিকচার-ইন-পিকচার বা পিআইপি মোড নিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ভিডিও কলের সময় মাল্টি-টাস্কিং সুবিধা দেবে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল চলাকালীন অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

হোয়াটসঅ্যাপের ফিচার ট্র্যাকার ওয়েবেটাইনফো সর্বপ্রথম এই ফিচারটির খবর প্রকাশ্যে এনেছে। এই ওয়েবসাইটটি হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করে থাকে।

ওয়েবেটাইনফো জানিয়েছে, নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভিডিও কল চলাকালীন অন্য কাজেও নিজেদের ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন পিআইপি মোডের সৌজন্যে ব্যবহারকারীরা ভিডিও কল চলাকালীন একটি ছোটো উইন্ডোতে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও দেখার পাশাপাশি অন্যান্য অ্যাপও ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা ভিডিও কল করার সময়ও মাল্টি-টাস্কিং করার সুবিধা পাবেন।

নতুন এই ফিচারটি ব্যবহার করতে চাইলে আইওএস ইউজারদেরকে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের ২৩.৩.৭৭ ভার্সনটি ইনস্টল করতে হবে।

আইওএসের পাশাপাশি সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যও নতুন একটি ফিচার রোলআউট করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। উল্লেখ্য, এতোদিন পর্যন্ত এই অ্যাপের মাধ্যমে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৩০টি মিডিয়া ফাইল শেয়ার করতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। তবে এবার ৩০ থেকে বাড়িয়ে সংখ্যাটিকে ১০০ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অর্থাৎ একসঙ্গে ১০০টি ফটো বা ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। ইতিমধ্যে বিটা টেস্টারদের জন্য ফিচারটি রোল আউট করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

হোয়াটসঅ্যাপ কি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম WhatsApp Messenger

হোয়াটসঅ্যাপ কি? হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম! || হোয়াটসঅ্যাপ – WhatsApp Messenger

একটা সময় মানুষ যোগাযোগের জন্য চিঠির উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে, যে কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম। কারণ, অল্প সময়ের ব্যবধানে যোগাযোগ করতে রয়েছে অনেক ডিভাইস এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
তাদের ভিতর উল্লেখযোগ্য: ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম,ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ সহ আরো অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
আজ আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে চলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ এর ছোট্ট একটি রিভিউ। আশা করছি, এই ওয়েবসাইটের বিগত দিনের পোস্টগুলোও দেখবেন।
তাহলে চলুন শুরু করি!
হোয়াটসঅ্যাপ কি?
এটি একটি বহুল জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্ক মাধ্যম। বর্তমানে ১৮০ টি দেশের প্রায় ২ বিলিয়ন লোক, পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবদের সাথে সব সময় কানেক্টেড থাকতে, ব্যবহার করছেন “হোয়াটসঅ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম যাত্রা শুরু হয়, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অর্থাৎ আজ থেকে ১২ বছর আগে। প্রথমদিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শুধুমাত্র মেসেজ করার সুযোগ থাকলেও, বর্তমানে রয়েছে ভিডিও, ভয়েস কল, লোকেশন এবং ডকুমেন্টস পাঠানো সহ আরো বেশ কিছু চমকপ্রদক ফিচার।
যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলবেন:
• প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপস টি, প্লে স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন এবং ওপেন করুন।
• এরপর Agree & Continue বাটনে ক্লিক করুন এবং ফোন নাম্বার দিয়ে “Done” বাটনে ক্লিক করুন।
• এরপর ফোনে আসা ৬ ডিজিট ভেরিফিকেশন কোড দিন এবং “Done” বাটনে ক্লিক করুন।
• এরপর ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম দিয়ে “Create Account” এ ক্লিক করুন। এছাড়াও আপনারা চাইলে, ফেসবুকের তথ্য দিয়েও একাউন্ট খুলতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলার পর, অবশ্যই সিকিউরিটির জন্য টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করুন। ]
 
হোয়াটসঅ্যাপ এর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা:
• আপনার ব্যক্তিগত কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের মেসেজ হিস্টরি এনক্রিপটেড অবস্থায় থাকে। যার ফলে আপনি ছাড়া অন্য কেউ দেখতে পারে না, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত।
• দ্রুত এবং ধীর গতির ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েও, একসাথে ৮ জন মিলে ভিডিও এবং অডিও কলের সুবিধা।
• আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবার নিয়ে গ্রুপ খুলতে পারার সুবিধা। পাশাপাশি এনক্রিপটেড মুডে গ্রুপ ব্যবহার করা সম্ভব। এর ফলে আপনি ছাড়া কেউ, মেসেজ হিস্টরি, ছবি, ভিডিও এবং ডকুমেন্টস অন্য কেউ দেখতে পারবেনা।
• নির্দিষ্ট ছবি, ভিডিও, অডিও কিংবা ডকুমেন্টস কাঙ্খিত ব্যক্তির সাথে কনভারসেশন চলাকালীন, শুধুমাত্র একবার দেখানোর সুবিধা। (এটা এক প্রকারের প্রাইভেট চ্যাটিং বলতে পারেন। )
• গ্রুপ কলে কনভার্সেশন চলাকালীন যেকোনো মুহূর্তে বের হওয়ার সুবিধা। পাশাপাশি আপনি চাইলে আবার রি-জয়েনও করতে পারবেন। এছাড়াও এই অ্যাপে রয়েছে ছোট-বড় আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। যা জীবনযাত্রাকে আরো সহজ করে তোলে।
• পরিবার কিংবা বন্ধুদের মাঝে লোকেশন শেয়ার করার সুবিধা। পাশাপাশি যেকোনো মুহূর্তে লোকেশন বন্ধ ও করার সুযোগ রয়েছে।
• ফেসবুকের মত স্টরি কিংবা মাই ডে আপলোড করার সুবিধা এবং এটি ২৪ ঘন্টা পর অটোমেটিকলি বন্ধ হয়ে যায়।
 
হোয়াটসঅ্যাপ এর খারাপ দিক:
• একই সময়ে একসঙ্গে একাধিক ডিভাইসে একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
• অ্যাপ এর তুলনায় ওয়েবসাইট খানিকটা স্লো।
• আপনার পাঠানো মেসেজ পুনরায় রি-এডিট করতে পারবেন না।
• আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেকোনো মুহূর্তে ফাঁস হতে পারে। ( টেকনোলজিস্টদের মতে ) তবে বিগত দিনেও বেশ কয়েকবার, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের নামে তথ্য ফাঁস করার গুঞ্জন ইতিমধ্যে শোনা গেছে।
• মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ফিচারে ল্যাগিং সমস্যা। (ইউজারদের মতামত অনুযায়ী)
• একাউন্ট এনক্রিপটেড থাকা সত্ত্বেও, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ আপনার/ আমার কিংবা আমাদের সম্বন্ধে যথেষ্ট তথ্য জানার ক্ষমতা রাখে। (বিভিন্ন টেকনোলজি রিলেটেড নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী।)
 
হোয়াটসঅ্যাপ এর নিয়ম নীতিমালা:
অবিশ্বাসযোগ্য হলেও এটা সত্যি যে, আমাদের ভিতর অনেক মানুষ রয়েছেন। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে, কিন্তু নির্দিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নিয়ম-নীতিমালা সম্বন্ধে, কোন প্রকার ধারণা রাখে না। যার ফলে অনেকেই বিপদের সম্মুখীন হন।
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বিগত দিনের থেকে বর্তমানে বেশ কঠোর অবস্থানে গিয়েছে। কারণ, দিন সামনের দিকে যত গড়িয়ে যাচ্ছে, অপরাধীর সংখ্যা কিংবা হার ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মাঝে বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মেলা জুড়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
উদাহরণস্বরূপ যেমন: হুমকি, হয়রানি, অশ্লীলতা, অবৈধ, অপরাধ প্রচার, ছদ্মবেশ এবং বাল্ক মেসেজিং সহ আরো অনেক কিছু।
উপরোক্ত অপরাধ গুলোর মধ্য থেকে, যেকোনো একটির সাথে আপনার যদি সম্পৃক্ততা থাকে। তাহলে যে কোন মুহূর্তে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক কিংবা পুলিশের শরণাপন্ন হলেও হতে পারে। ]
ডিজাইন:
হোয়াটসঅ্যাপের ডিজাইনের কথা বলতে গেলে এক কথায় “অসাধারণ” হোয়াটসঅ্যাপ যারা দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছেন, তারা হয়তো জানেন হোয়াটসঅ্যাপ এর ডিজাইন কতটা অ্যাট্রাক্টিভ। তাই ডিজাইন সম্পর্কে বেশি কিছু বললাম না।
হোয়াটসঅ্যাপ এর রেটিং এবং রিভিউ:
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের প্লে স্টোর রেটিং রয়েছে 4.1/5 এবং রিভিউ রয়েছে প্রায় ১৪২ মিলিয়নেরও বেশি। এর পাশাপাশি অ্যাপ স্টোরে রেটিং রয়েছে 4.7/5 এবং রিভিউ রয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়নেরও বেশি।
হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড:
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপস টি আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন প্লে স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে উইন্ডোজ এবং ওয়েব ব্রাউজারে।
শেষ কথা:
পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বেশ আলোচিত। হোয়াটসঅ্যাপ এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে, সেই সাথে নিয়ম নীতিমালাও। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাদের রিকমেন্ড করব, হোয়াটসঅ্যাপে কোন ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ততা না রাখার।
কারণ, আপনার একটি অনৈতিক কাজের ফলে, ঘটে যেতে পারে অনেক কিছু।
হোয়াটসঅ্যাপ

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস কল রেকর্ড করবেন || হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কল রেকর্ড

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপটির সাহায্যে ভয়েস ও ভিডিও কলিংও করা যায়।

কিন্তু অ্যাপটিতে কল রেকর্ড করার কোনো বিল্ট-ইন ফিচার নেই। হোয়াটসঅ্যাপ কল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড। এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই অনেকে কলিংয়ের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের উপর ভরসা রাখেন।

এদিকে অনেক সময় কথোপকথন রেকর্ড করা জরুরি হয়ে পড়ে। কল রেকর্ড করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে বিল্ট-ইন কোনো ফিচার না থাকলেও একাধিক থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড করতে পারবেন। তবে কল রেকর্ড করার আগে ফোনের অপর প্রান্তে ব্যক্তির অনুমতি নিন। অনুমতি ব্যতীত কারো কল রেকর্ড করবেন না।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যেভাবে রেকর্ড করবেন হোয়াটসঅ্যাপ কল

হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ডিংয়ের জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপ হিসেবে ‘কল রেকর্ডার: কিউব এসিআর’ নামক অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটি ব্যবহারের সুবিধা হলো, এটি সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড করে ডিভাইসের ইন্টারনাল মেমোরিতে তা সেভ করে রাখে। প্রথমে গুগল প্লে স্টোর অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন। এরপর ‘কিউব এসিআর’ অ্যাপ ওপেন করে হোয়াটসঅ্যাপে Newসুইচ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ কল ডায়াল বা রিসিভ করার সময় কিউব কল উইজেট দেখা গেলে বুঝবেন কল রেকর্ড হচ্ছে। যদি উইজেটটি দেখতে না পান, তাহলে পুনরায় কিউব এসিআর অ্যাপটি খুলুন এবং সেটিংসে গিয়ে ভয়েস কলের জন্য ‘ফোর্স ভিওআইপি কল’ অপশনটি বেছে নিন। তবে এবারও উইজেটটি না দেখালে বুঝতে হবে আপনার ফোনে এটি কাজ করবে না।

 

আইফোনে যেভাবে রেকর্ড করবেন হোয়াটসঅ্যাপ কল

আপনার ম্যাক ডিভাইস থেকে ‘কুইক টাইম’ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন। এরপর আপনার আইফোনটি কানেক্ট করুন ম্যাক ডিভাইসের সঙ্গে এবং কুইক টাইম খুলুন। এবার ‘ফাইল’ অপশনে চলে যান। ‘নিউ অডিও রেকর্ডিং’ অপশনে ক্লিক করে ‘আইফোন’ সিলেক্ট করুন; এরপর ‘রেকর্ড’ বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার আইফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করার জন্য ‘অ্যাড ইউজার’ আইকনে ক্লিক করুন। ভয়েস কল করলে তা অটোমেটিক্যালি রেকর্ড হয়ে যাবে। রেকর্ডিং ফাইলটি ম্যাক ডিভাইসে সেভ হবে।